আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব
বেশি। আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই এ রোগে আক্রান্ত হয়ে শুধু রাজধানীতেই দেড়
শতাধিক রোগী হাসপাতালে শয্যাশায়ী হয়েছেন। মরণঘাতি এ রোগে আক্রান্ত না হতে
মেনে চলুন কিছু দরকারি তথ্য। আসুন জেনে নেই বিস্তারিত-
ডেঙ্গুর লক্ষণ : ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালের ডা. সৈয়দ গোলাম মোগনী মাওলা বলেন, কাঁপুনি দিয়ে হঠাৎ
উচ্চমাত্রার জ্বর, কখনও কখনও তা ১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে। জ্বরের সঙ্গে
তীব্র
মাথাব্যথা, সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা, চোখের পেছনের দিকে বেশ ব্যথা
এবং শরীরে লালচে দাগ বা র্যাশ উঠা। এ ছাড়া, দাঁতের মাড়ি ও নাক দিয়ে রক্ত
পড়া, চোখ লাল এবং পায়খানা ও প্রশ্রাবের সঙ্গে রক্ত যেতে পারে।’
তবে ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে এসব লক্ষণ দেখা দিলে
ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনে
নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন এ চিকিৎসক।
ভীত না হয়ে এর প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়ার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন,
‘পরিষ্কার পানিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে। তাই কোথাও পানি জমে থাকতে দেওয়া উচিৎ
নয়। যেহেতু এটি একটি মশাবাহিত রোগ, সেহেতু মশার বংশবৃদ্ধি রোধ, নিধন ও
প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে প্রয়োজন : বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘরবাড়ি ও
এর চারপাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ক্যান, টিনের কৌটা, মাটির পাত্র,
বোতল, নারকেলের মালা বা এ জাতীয় পানি ধারণ করতে পারে এমন পাত্র ধ্বংস করে
ফেলতে হবে, যেন পানি জমতে না পারে। গোসলখানায় বালতি, ড্রাম, পানির ট্যাংক
কিংবা মাটির গর্তে কোনো অবস্থাতেই পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। ঘরের আঙিনা,
ফুলের টব, বারান্দা, বাথরুম, ফ্রিজ ও এসির নিচে জমানো পানি নিয়মিত পরিষ্কার
করতে হবে, যাতে মশা বংশবৃদ্ধি করতে না পারে। এ ছাড়া সবসময় মশারি টানিয়ে
ঘুমান উচিৎ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার কোন মতামত থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত টি লিখুন :