ইংল্যান্ডে বসবাসকারী কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষদের প্রোস্টেট ক্যানসার বা
মূত্রথলির ক্যানসারের ঝুঁকি সেখানকার ‘সাদা’ পুরুষদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ
বেশি। এদিক থেকে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় আছে সেখানে বসবাসকারী এশীয় ‘বাদামি’
পুরুষেরা। এ ক্ষেত্রে তাদের ক্যানসারের ঝুঁকি সাদা পুরুষদের তুলনায় প্রায়
অর্ধেক। যুক্তরাজ্যের সর্বশেষ এক বিশদ গবেষণার বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান এ
খবর জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার অনলাইন সাময়িকী বায়োমেডিসিনে এই গবেষণা প্রতিবেদনটি
প্রকাশিত হয়েছে। ইংল্যান্ডে বসবাসকারী সাদা, কালো ও এশীয় বাদামি পুরুষদের
ওপর এই বিষয়ে জরিপ চালানো হলেও মিশ্র জাতিসত্তার পুরুষদের এই গবেষণার আওতায়
আনা হয়নি।
গবেষকেরা বলছেন, মূত্রথলির ক্যানসার আছে কিনা তা পরীক্ষার ক্ষেত্রে
কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষদের প্রতিই সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। যুক্তরাজ্যে
ক্যানসার আক্রান্ত পুরুষদের মধ্যে মূত্রথলির ক্যানসারের রোগীই সবচেয়ে বেশি।
পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড ও প্রোস্টেট ক্যানসার ইউকের যৌথভাবে পরিচালিত এ
গবেষণায় বলা হয়েছে— ইংল্যান্ডে বসবাসকারী কালো পুরুষদের মূত্রথলির
ক্যানসারে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রতি ১২ জনে একজন। সেখানকার সাদা পুরুষদের মধ্যে
এই ঝুঁকি ২৪ জনে একজন এবং এশীয় পুরুষদের মধ্যে প্রতি ৪৪ জনে একজন।
ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা প্রায় ২ কোটি ৫৬ লাখ পুরুষের স্বাস্থ্য তথ্য জরিপ
করে এ গবেষণা চালিয়েছে। এদের মধ্যে ১ লাখ ২ হাজার ২৫২ জনের মূত্রথলির
ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে। আর এদের মধ্যে ২৬ ৫২১ জন মূত্রথলির ক্যানসারে মারা
গেছেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জাতিসত্তার বাইরে মূত্রথলির
ক্যানসারের বড় ঝুঁকিগুলো হলো বয়স, পরিবারে এই ক্যানসারের ইতিহাস এবং
অতিরিক্ত ওজন।
যুক্তরাজ্যের পুরুষদের মধ্যে মূত্রথলির ক্যানসারের বিস্তারই সবচেয়ে
বেশি। শুধু ২০১১ সালেই ৪১ হাজার ৭৩৬ জনের এই ক্যানসার ধরা পড়েছে। গবেষকদের
ধারণা ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বিস্তার লাভ করা ক্যানসারে
পরিণত হবে এটি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার কোন মতামত থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত টি লিখুন :