বাংলাদেশেই সব ধরনের হৃদরোগের চিকিৎসা ও সার্জারি সম্ভব। এজন্য চিকিৎসক, গবেষক, সার্জন ও নার্সদের যথাযথ প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।
সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)’র
উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার
বিএসএমএমইউ’র মিলন হলে হৃদরোগ বিষয়ক এক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব
কথা বলেন।
বিএসএমএমইউ’র কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. অসিত বরণ
অধিকারী অপারেটিভ এ্যান্ড পোস্ট অপারেটিভ ম্যানেজম্যান্ট অব ডিওআরবি শীর্ষক
এ সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন।
ভারতের প্রখ্যাত কার্ডিয়াক সার্জারি বিশেষজ্ঞ
মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন আমবানি হাসপাতালের চিলড্রেন হার্ট সেন্টারের পরিচালক
অধ্যাপক ড. সুরেশ জি রাও সেমিনারে মুল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ শিকদার বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের
পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি হয়েছে। শিশু ও
মাতৃমৃত্যু হার কমেছে। দেশের মানুষের গড় আয়ু ৬৯ বছরে উন্নীত হয়েছে।
তিনি অধ্যাপক ড. সুরেশ জি রাওয়ের বাংলাদেশ সফরকে একটি কার্যকর উদ্যোগ
হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এদেশের কার্ডিয়াক
সার্জনগণ বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। দেশের শ্রেষ্ঠ চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
হিসেবে বিএসএমএমইউ অদূর ভবিষ্যতে দেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কার্ডিয়াক সার্জন
তৈরিতে সক্ষম হবে।
অধ্যাপক সুরেশ জি রাও বাসস’র সাথে আলাপকালে বলেন, “এটা দেখে আমি অত্যন্ত
আনন্দিত যে বাংলাদেশ এখন সব ধরনের হৃদরোগ সার্জারি করতে সক্ষম।”
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যেহেতু একটি ব্যাপক জনসংখ্যাবহুল দেশ, তাই এদেশেই
হৃদরোগ সার্জারির সব ধরনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার। বাসস’র এক প্রশ্নের
জবাবে তিনি ভবিষ্যতে হৃদরোগ সার্জারির বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানে বাংলাদেশে
আসার ব্যপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
রাও বলেন,“বাংলাদেশ সফরে এসে হৃদরোগ সার্জারি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে পেরে
আমি আনন্দিত। এ বিষয়ে চিকিৎসক ও নার্সদের জানার আগ্রহ দেখে আমি অভিভূত ও
মুগ্ধ।”
বিএসএমএমইউ’র শিশু হৃদরোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোঃ জাহিদ হোসেন
বাসসকে বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রচুর হৃদরোগী বিদেশে চিকিৎসার জন্য
যায়। এতে তাদের ব্যয় হয় কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকা। কিন্তু দেশে মাত্র এক লাখ
টাকায় এদের পূর্ণ চিকিৎসা করা সম্ভব। তবে তার জন্য দক্ষ জনবল প্রয়োজন। তিনি
শিশু হৃদরোগীদের জন্য পৃথক ইন্সটিটিউট করার সুপারিশ করেন।
বিএসএমএমইউ’র হৃদরোগ বিষয়ক ছাত্র, শিক্ষক, চিকিৎসক ও নার্সরা এ সেমিনারে অংশ নেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার কোন মতামত থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত টি লিখুন :