
যদিও চিকিৎসা বিজ্ঞান বলেছে এটি একটি আংশিক আবরনকারী পর্দা।
এমনকি অনেক নারী এ পর্দা ছাড়াও জন্মগ্রহন করেন অথবা সাঁতার, খেলাধুলা সহ দৈনন্দিন কাজ কর্মের ফলে এটি ছিঁড়ে যায়। তারপরও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ অঙ্গ এখনো নারীর স্বতীত্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা সম্পুর্ন ভিত্তিহীন। ভারত এবং জাপান সহ বিশ্বের অনেক দেশে স্বতীচ্ছদ পুনঃস্থাপন অস্ত্রপ্রচার (প্লাষ্টিক সার্জারী) খুব জনপ্রিয়।
স্বতীচ্ছদের কাজঃ
১. কিশোরী বয়সে মেয়েদের যৌনাঙ্গকে সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা করা।২. মাসিক ঋতুচক্র শুরু হবার পর রক্তের স্বাভাবিক বহিঃর্গমন নিশ্চিত করে।
স্বতীচ্ছদের প্রকারভেদঃ
১. ছিদ্রহীন স্বতীচ্ছদঃ
সাধারনত এই প্রকার স্বতীচ্ছদ সম্পুর্ন যৌননালীকে ঢেকে রাখে। এতে কোন প্রকার ছিদ্র থাকেনা, তাই ঋতুচক্রের রক্ত বাহিরে আসতে পারেনা।ছিদ্রহীন স্বতীচ্ছদ হবার কারণঃ
এটি সাধারনত কিশোরী বয়েসে পরিলক্ষিত হয়। নতুন জন্ম নেয়া মেয়ে শিশুর শাররীক পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে এই রোগ নির্নয় করা যায়। এটা স্পষ্ট যে কিশোরীদের ছিদ্রহীন স্বতীচ্ছদ একটি জন্মগত রোগ এবং ইপিথিলিয়াল কোষের (খাদ্যযন্ত্র/খাদ্যনালী তথা মুখগহ্বর থেকে পায়ূপথ পর্যন্ত রাস্তার বাহিরের ঝিল্লী) কার্যকারীতা নষ্ট হবার কারনেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রদাহী কারনেও এ ধরনের সমস্যার কারন হতে পারে।
ছিদ্রহীন স্বতীচ্ছদের লক্ষনঃ
১. ঋতুচক্রের রক্তস্রাব না হওয়া।
২. তলপেটে ব্যাথা অনুভব করা।
৩. স্বতীচ্ছদের Epithelial (খাদ্যযন্ত্র/খাদ্যনালী তথা মুখগহ্বর থেকে পায়ু পথ পর্যন্ত রাস্তার বাহিরের ঝিল্লী) কোষর অস্বাভাবিকতা; এর ফলে যৌনাঙ্গের ভিতরে রক্তপ্রবাহ উল্টোমূখী হতে পারে।
৪. প্রস্রাবে সমস্যা।
৫. যোনীমুখের বাহিরের দুটি ভাজে নীলাভ কিংবা লালচে পিন্ড দেখা যায়।
৬. কিছু ক্ষেত্রে কোষ্ঠবদ্ধতা পরিলক্ষিত হয়।
ছিদ্রহীন স্বতীচ্ছদের চিকিৎসাঃ
যদি কোন নারী এ সমস্যায় ভোগেন তাহলে অস্ত্রপ্রচারের মাধ্যমে এটি থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব। অস্ত্রপ্রচারে স্বতীচ্ছদে ছিদ্র করার বদলে স্বতীচ্ছদের কোষ সম্পুর্ন অপসারন করে ফেলা হয়। অল্প বয়সে এই অস্ত্রপ্রচার উচিৎ নয়, বিশেষ করে যে বয়সে ইস্ট্রোজেন হরমনের স্তর খুব সামান্য। শিশুকালে যদি এই সমস্যা দেখা যায় তাহলে কিশোরীদের স্তনের আকার পরিবর্তন শুরু হলে পুনরায় পরীক্ষা করে দেখতে হবে সমস্যাটি কি এখনো বিদ্যমান রয়ে গেছে কিনা। সেই বয়সে এসে অস্ত্রপ্রচার করা যেতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার কোন মতামত থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত টি লিখুন :