নিজের সঙ্গিনীর কাছে ভালবাসা প্রদর্শন করার আগে তাকে নিজের কাছে আকর্ষিত
করতে হবে। আর তাঁর জন্য দরকার কিছু গুণ। যা আপনার মধ্যে আছে। শুধু তা উজার
করে দিতে হবে। চলুন জেনে নিই সেই উপায়গুলি কী?
ভালোবাসার প্রথম শর্তই হল সততা, আপনার প্রিয় মানুষটির নিকট সব সময় সৎ
থাকুন। কোন কিছুই তার কাছে গোপন করার চেষ্টা করবেন না। প্রিয় মানুষটিকে
তার দূর্বলতায় আঘাত করা যাবেনা। আপনাকে হতে হবে আত্মবিশ্বাসী। সব ধরনের
মেয়ারা ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন ও আত্মবিশ্বাসী ছেলেদের বেশী পছন্দ করে।
প্রিয়তমার মানসিক ও শারীরিক চাহিদার প্রতি খেয়াল রাখুন। প্রিয়তমাকে নিজের
ধনসম্পদের চেয়েও বেশি ভালোবাসতে হবে।
সকল নারীরাই তার প্রিয়জনের নিকট থেকে
ভালোবাসা পেতে চায়। মেয়েরা চায় তার প্রিয় মানুষটি তার প্রতি খেয়াল রাখুক
তার প্রতি যত্নবান হোক। সব কিছুর উর্ধ্বে দেখুক তাকে। মেয়েরা রসিক ছেলেদের
বেশি পছন্দ করে। সামান্য একটা তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে যেসব ছেলেরা তামাশা করতে
পারে সেইসব ছেলেদের মেয়েরা বেশি পছন্দ করে। মেয়েরা সবসময়
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিপাটি থাকতে পছন্দ করে। মেয়েরাও চায় তার প্রিয়
মানুষটি সব সময় ফিটফাট থাকুক। প্রিয়তমাকে প্রশ্ন করার মত সুযোগ দিতে হবে।
খেয়াল রাখতে হবে সে কি জানতে চায়। নিজের পারিবারিক ব্যাপারে তার সামনে
খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। এতে নারীরা নিজেদের অনেকটা নিরাপদ মনে করে।
আপনার জীবনে যদি পূ্র্বে কোন প্রেম থেকে থাকে তা প্রিয়তমাকে বলতে যাবেন না
যদি সে কখোনো জানতে না চায়। প্রিয়তমা জানতে চাইলে তবেই বলা যেতে পারে।
কথার ছলে গল্প বলা মেয়েরা খুব ভালোবাসে। প্রিয় মানুষটির গল্পে-স্বল্পে
বিরক্ত হবেন কিন্তু। তাহলে আপনার প্রিয়তমা কিন্তু আপনার উপর রেগে যাবে।
প্রিয়তমার সাথে কথা বলার সময় তার শরীরের দিক না তাকিয়ে তার চোখের দিকে
তাকিয়ে আবেগের সহিত কথা বলুন। এতে মেয়েরা খুবই খুশি হয়। আপনার মনে বেদনার
ঝড় বইতে পারে, তার জন্য বিষয়টি সবাইকে বলে বেড়াবেন তা নয়। প্রিয়তমাকেও
আপনার দুঃখ-কষ্ট বুঝতে না দিয়ে হাসি খুশি থাকার চেষ্টা করুন। যথাসম্ভব
প্রিয়জনের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করুন। তাকে ঘনঘন সময় দিতে পারলে ভাল হয়।
প্রিয়তমার পছন্দ-অপছন্দের প্রতি খেয়াল রাখুন। তার ভালো লাগার প্রতি গুরুত্ব
দিন এবং মন্দ লাগার বিষয়গুলোও মাথায় রাখুন। প্রিয়তরার সাথে অন্যকোন নারীর
তুলনা করা যাবে না। এটি মেয়েরা মোটেও পছন্দ করেন না। অনেকেই ভাবেন
প্রেমিকার সঙ্গে বন্ধুত্ব করা যায় না! কথাটি মোটেও ঠিক না। আগে বন্ধুত্ব
অতঃপর প্রেম। প্রেমিকার বিশ্বাসে কখোনো আঘাত করবেন না। প্রিয়তমার চিন্তা
চেতনাকে সম্মান করুন। প্রেমিকার শরীরের মোহে না পরে তার মনের গুরুত্ব দিন।
শরীর বৃত্তিয় ভালোবাসা বেশিদিন টিকে থাকে না। মন থেকে ভালোবাসুন। তাহলে
দেখবেন একসময় অনায়াসেই তার শরীর মন দু’টোই পেয়ে যাবেন। নারীরা প্রকৃতিগত
ভাবেই কোমল। তাই প্রিয়তমার সাথে কথা বলার সময় কখনো কঠোর হবেন না। নরম সুরে
নারীর সাথে কথা বলুন। নারীরা খুব আবেগ প্রবণ। তারা সবসময় পরিবার-পরিজন
নিয়ে থাকতে ভালোবাসে। আপনার প্রিয় মানুষটির পরিবারের প্রতি খেয়াল রাখুন।
ঘনঘন খোজ খবর
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার কোন মতামত থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত টি লিখুন :