পুরুষের যৌনাশঙ্কা
জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে পুরুষের যৌনতা নিয়ে নানা দুশ্চিন্তা বা
দুর্ভাবনা থাকে। তারা চিন্তা করে সব সময় কেন উত্থান বা লিঙ্গ দাঁড়ানোর
ব্যাপারটা একইভাবে হয় না-তবে কি যৌনঅক্ষমতা বা পুরুষত্বহীন হয়ে গেলাম।
কামরস কেন এত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসে, কামরস যৌনসঙ্গমের সাথে সেক্স করার সময়
কেন বের হয় না অথচ হস্তমৈথুন বা সুখস্পর্শের সময় ঠিকই কামরস বের হয়ে আসে
ইত্যাদি।
পুরুষের যৌন আচরণ আর যৌন ইচ্ছার সুনির্দিষ্ট কোনো সীমা নেই। একেকজন একেক
আসন, ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি বা টেকনিক পছন্দ করে অন্যরা হয়ত তা করে না। একজন
পুরুষ নিজের যৌনতা নিয়ে যা ভাবেন তাই তার কাছে সটিক হওয়া উচিত। অন্য
পুরুষরা যেরকমের আচরণ করেন তাকেও সেই একই রকম আচরণ করতে হবে এমন কোনো কথা
নেই। তবে অনিচ্ছা সত্ত্বেও কাউকে যৌন আচরণে বাধ্য করা অন্যায়। বলাৎকার বা
ধর্ষণ কিন্তু আইনের দৃষ্টিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
যৌন জীবনের কোনো এক পর্যায়ে মনে হবে কেউ উত্থিত লিঙ্গকে যৌনসুখ পাওয়া না
পর্যন্ত ঠিক ধরে রাখতে পারছে না। এর আসলে অনেক কারন থাকতে পারে যেমন
অসুস্ততা, ক্লান্ত বা অবসন্ন থাকা, মনোশারীরিক চাপে থাকা বা যৌনসঙ্গীকর্তৃক
মনঃকষ্ট পাওয়া, এ্যালকোহল, ড্রাগ বা ওষুধ সেবনের কারণে হতে পারে। তবে যৌন
অসন্তোষ বা অতৃপ্তি এসব সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। মানসিক সমস্যাজনিত কারণটি
সমাধানের জন্য সেক্স থেরাপিষ্টের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
সবচেয়ে প্রচলিত যৌনাশঙ্কা আর ভাবনা হলো দ্রুত বীর্যস্খলন বা নির্দিষ্ট
সময়ের আগেই বীর্যস্খলন। এটা আসলে এক প্রকারের অর্জিত বা শিক্ষণীয় যৌন আচরণ
যা মাষ্টারবেশন বা হস্তমৈথুনের সাহায্যে ঠিক করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে
পুরুষটিকে জানতে হবে ও শিখতে হবে কিভাবে বীর্যস্খলনের সময়কে বাড়ানো যায় এবং
যৌন অনুভুতি বা শিহরণকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। পেনিসকে হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে
একবারে উদ্দীপিত করে আবার যৌনপুলক নিয়ন্ত্রণ করে বন্ধ করুন যাতে কিনা
বীর্যস্খলিত হতে না পারে। এভাবে কয়েকদিন অভ্যাস করলে এ সমস্যা থেকে
পরিত্রাণ পেতে পারেন। তাই মাষ্টারবেশন বা হস্তমৈথুন নিজে করে বা যৌনসঙ্গীকে
দিয়ে করিয়ে সুখ স্পর্শ আর যৌনতৃপ্তি অনুভব করুন এবং দ্রুত বীর্যস্খলন রোধ
করুন।
কতক পুরুষের পেনিস ভালভাবে উত্থিত হলেও অর্গাজম বা যৌনসঙ্গীর সাথে চরমপুলক,
বা যৌন শিহরণ পেতে অসুবিধা হয় কিন্তু যখন তিনি মাষ্টারবেশন করেন তখন কোনো
সমস্যা থাকে না। এর একটা মানসিক কারণ থাকতে পারে। তিনি যৌন আচরণকে অপরাধের
দৃষ্টিতে দেখতে পারেন বা নারী বা যৌনসঙ্গী গর্ভবতী হয়ে যাবে এরকমটি ভাবতে
পারেন বা যৌনবাহিত রোগ বা ইনফেকশনকে এড়িয়ে চলতে পারেন। আপনি যদি এ ব্যাপারে
সহায়তা চান তবে মনোচিকিৎসক বা সেক্স থেরাপিষ্টের সাথে পরামর্শ করুন- এটাকে
মনোচিকিৎসার সাহায্যে সম্পূর্ণ ভালো করা সম্ভব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার কোন মতামত থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত টি লিখুন :