picture

শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০১৪

রোজা রাখায় ৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

১৫ ঘন্টার রোজা রাখার কথা চিন্তা করে অনেকেই ঘাবড়ে যাচ্ছেন। বিষ্ময়কর বিষয় হলো এতো দীর্ঘ সময় ধরে না খেয়ে থাকার ফলে তেমন কোনো শারীরিক সমস্যা তো হয়ই না বরং শরীরের বেশ কিছু উপকার হয়। জেনে নিন রোজার রাখার ৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।

১) ধূমপান কমিয়ে দেয়


যারা রোজা রাখেন তাঁরা দিনের দীর্ঘ সময় ধরে ধূমপান করেন না। এভাবে টানা একমাস ধূমপান না করার কারণে রোজাদারদের ধূমপানের অভ্যাস অনেকটাই কমে যায়। সেই সঙ্গে ধূমপানের কারণে সৃষ্ট নানা রকম সমস্যা দূর হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় ধূমপান না করার কারণে রোজার মাসটি ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করার জন্য শ্রেষ্ঠ সময়।

২) ওজন কমাতে সহায়তা
যারা ওজন সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা রোজার মাসে বেশ উপকার পেতে পারেন। রোজার সময় যদি সেহেরি ও ইফতারে অতিরিক্ত ভাজা পোড়া খাবার না খেয়ে খুব সাধারণ পুষ্টিকর খাবার খাওয়া যায় তাহলে বেশ সহজেই অনেকখানি ওজন কমিয়ে ফেলা সম্ভব। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার ফলে শরীরের জমানো চর্বিগুলো ক্ষয় হতে থাকে। এইভাবেই ধীরে ধীরে ওজন কমতে থাকে।

৩) উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ
রোজার মাসে যদি অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার পরিহার করা যায় এবং সেহরী ও রাতের খাবারে তেল, চর্বি এড়িয়ে চলা যায় তাহলে খুব সহজেই রোজার মাসে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সেই সঙ্গে রোজার মাসে কমানো সম্ভব হৃদরোগের ঝুঁকিও।

৪) গ্যাস্ট্রিক ও আলসারের সমস্যা কমায়
অনেকেরই সারা বছর গ্যাস্ট্রিক ও আলসারের সমস্যা হয়। রোজার মাসে ইফতারে তেলযুক্ত খাবার না খেলে গ্যাস্ট্রিক ও আলসারের সমস্যা কমিয়ে ফেলা সম্ভব। কারণ এই সময়ে প্রতি বেলার খাবার খাওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা থাকে। ফলে প্রতিদিন সময়মত খাওয়ার কারণে হজমপ্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে।

৫) ডায়াবেটিস কমায়
যারা ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা রোজার মাসে খুব সহজেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। রোজার মাসে পরিমিত খাওয়া হয়। এই সময়ের খাবারের থেকে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে দিন। শরবতে খুব বেশি চিনি খাবেন না। তাহলে অনায়েসেই ডায়াবেটিসটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।

শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকুন।
আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার কোন মতামত থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত টি লিখুন :